তৌফিক সুলতান |
২০।
শুনচ্ছো; আমি দেখেছি কিভাবে অপেক্ষারা উপক্ষাতে বদল হয়।
নির্ঘুম রাত্রি শেষে আধার নিয়ে আসে ভোর।
তোমার নামে বেরিয়ে আসা দীর্ঘ শ্বাস বলে নীল আকাশ ছুঁতে আর কতো দূর।
এতোটা অপেক্ষায় রেখোনা
তারপর একদিন ফিরে এসে দেখবে ;
তুমি আসার আগেই
মৃত্যু এসে নিয়ে গেছে আমায়।
যেহেতু মৃত্যুর অভিধানে
'অপেক্ষা' বলে কোনো শব্দ নাই।
ভালোবেসে যে তোমাকে মনে রাখে নি
অহেতুক ঘৃণায় তাকে সরণে রেখে কি লাভ বলো?
তারচেয়ে বরং তোমার প্রর্থা জুড়ে না থাকুক সেই ভুল মানুষটার অভাব।
তোমাকে আমি সব সময় ভালোবাসি এটাই আমার স্বভাব।
তুমি আমার দুঃখ সুখ-
১৯|
পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আসলে
মানুষের জন্য পারফেক্ট না।
আবার থাকতে থাকতে একটা সময়
জেলখানার প্রতিও মায়া জন্মে যায়।
দীর্ঘ দিন বয়ে বেড়ানো একটা অসুখ–
সেরে উঠার পর অসুখের দিনগুলোর কথা
মনে পড়লে সেই অসুখটার জন্য মন খারাপ লাগে।
হেঁটে যেতে যেতে পথপাশে দেখা একটা ফুল,
অচেনা বাড়ির বেলকনি,
বিকেলের মিহি রোদ নেমে আসা ঝুল বারান্দা–
এসবের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
দূরপাল্লার বাসে বা ট্রেনে মুখোমুখি সিটে বসা
একজোড়া চোখের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
শয্যাশায়ী অবস্থায় ভর্তি হওয়া হাসপাতাল–
সেরে উঠার পর চলে এলে সেই কেবিন, নার্স,
সকালের পাউরুটি ডিম আর ইন্টার্ন ডাক্তারের
মৃদু হাসির কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
ভালো না লেগেও ছেড়ে আসা এইসব জেলখানা,
তীব্র বেদনা নিয়ে বয়ে বেড়ানো অসুখ,
পথপাশে বেড়ে উঠা ফুল, অচেনা বাড়ির বেলকনি,
মিহি রোদ নেমে আসা ঝুলবারান্দা,
মুখোমুখি সিটে বসা একজোড়া চোখ,
অসুখের দিন, হাসপাতাল, নার্স, পাউরুটি ডিম
আর ইন্টার্ন ডাক্তার– এসবের জন্য খারাপ লাগে।
আর আপনাকে তো ভালোবাসি।
তাই আপনাকে ছেড়ে এলে
কিংবা আপনি আমায় ছেড়ে গেলে–
আপনার জন্য মরে যাবার মতোন মন খারাপ লাগে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২২
(বাসা পরিবর্তন করতে গিয়ে
মালামাল নিয়ে যাওয়া পিকাপে বসে লেখা)
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
🌹 ১৮।
প্রতিটা মানুষের একটা নিজস্ব বেষ্ট ভার্সন থাকে । সে ভার্সনটা আমরা মানুষ হিসেবে ভুল মানুষকে উপহার দেই, যেটা সে মানুষটা ডিজার্ভ করে না । অথচ যাকে সামান্য দিলে দ্বিগুন ফেরত পাওয়া যায় তাকেই আমরা আমাদের সমস্ত অবহেলা দেই সহজ লভ্য বলে । প্রকৃতির বিচার কিনা জানি না , তবে এটাই সত্যি । যাকে সহজে পাওয়া যায় তাকে বোধহয় মানব প্রানী কখনোই মূল্য দিতে পারে না ।
~মাসুমা ইসলাম নদী -
১৭। "যে মানুষটাকে মন থেকে চেয়েও পাচ্ছেন না বরং আপনাকে অবহেলা করে যাচ্ছে, সেই মানুষটার কাছ থেকে সরে আসুন... তাকে অন্তত একটু একা থাকতে দিন !!
ভালোবাসলেই যে পেতে হবে এমনটা নয়... মাঝে মাঝে নিজের জন্য না ভেবে ঐ মানুষটার কথা ভেবেও প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে আসাটাও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ... সবকিছু পেয়ে যাওয়া মানেই ভালোবাসার সার্থকতা নয়, কিছু বিষয় না পাওয়ার মাঝেও ভালোবাসার সার্থকতা লুকিয়ে থাকে !!
.
যে মানুষটা আপনাকে চায় না তার কাছে নিজেকে যতো ভাবেই প্রকাশ করেন না কেনো, ঐ মানুষটা দিন শেষে আপনাকে বুঝবে না... বরং আপনার অনুভূতিগুলো তার কাছে আরো সস্তা হয়ে যাবে... যে আপনাকে ভালোবাসবে তার কাছে আপনার অনুভুতি প্রকাশ না করলেও মানুষটা আপনার জীবনে থেকে যাবে !!
.
মাঝেমধ্যে একটু থামতে হয়... যখন অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রকাশ হয়ে যায় তখন একটু স্পেস দিতে হয়... নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হয় যাতে অপর মানুষটা আপনাকে অনুভব করার সুযোগ পায়... সব সময় একইভাবে যদি আপনি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করে যান, তাহলে মানুষটা আপনার শূন্যতা অনুভুব করতে পারবে না !!
.
আপনি যাকে চাচ্ছেন, যাকে যতটুকু অনুভব করেন, যার প্রতি আপনার মায়া কিংবা ভালোবাসা কাজ করে, সেই মানুষটার মনে যদি আপনার জন্য এসব বিন্দুমাত্র অনুভব না হয়, তাহলে অন্তত ঐ মানুষটার কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে যাবেন না... স্রষ্টার কাছে চাওয়া যদি দুইজনের এক না হয়, তাহলে স্রষ্টা কখনো মিলায় না !!
.
কাউকে জোড় করে ধরে রাখা অনেকটা নিজেকে ঐ মানুষটার কাছে ছোট করে রাখার মতোই সমান... মানুষকে জোড় করে ধরে রাখা যায় না, বরং মানুষকে ছেড়ে দিতে হয়... ছেড়ে দেয়ার পরেও যে মানুষটা জীবনে থেকে যায় ঐ মানুষটাই হলো আপনার নিজের মানুষ... নিজের মানুষের সাথে কখনো জোড় করতে হয় না !!
.
সবার জীবনে এমন একটা নিজের মানুষ থাকা দরকার... যাকে কখনো জোড় করে ধরে রাখতে হবে না... মানুষটা নিজের ইচ্ছাতেই থেকে যাবে... এমন মানুষ সবার জীবনে আসে না... কারো কারো জীবনে আসে ঠিকই, কিন্তু অনেকেই মানুষটাকে ধরে রাখতে পারে না... অবহেলায় অযত্নে হারিয়ে ফেলে !!" :)
.
লেখকঃ Imran Hossain Nirob
ছবি ক্রেডিটঃ Sonjeeboni
১৬।
আমি ভালোবাসতে পেরেছিলাম বলে আমি কখনো ঠকবো না। বরং আমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার বিনিময় যে আমাকে অবহেলা করলো, অসময়ে হারিয়ে ফেললো তাকেই আজন্ম আফসোস আর দ্বিধা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। আমি ভালোবাসতে পেরেছিলাম এটা আমার নির্লিপ্ত অহংকার। এটা হেরে গিয়েও আমার নিজের কাছে নিজের খুব দারুণভাবে জিতে যাওয়া। এটা এক অন্যরকম প্রশান্তি। বিধস্ত বুকে এক আকাশ বিষণ্ণ সুখ।
লেখা- মেহেদী হাসান শুভ্র
🌹১৫।
"কেউ আপনাকে ছাড়া থাকতে পারে না,
আপনাকে ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে পারে না,
আপনি এড়িয়ে চললে তার খারাপ লাগে,
আপনি উপেক্ষা করলে তার দমবন্ধ লাগে,
খানিক অমনোযোগী হলেই অস্থির হয়ে
বলতে থাকে; তুমি কি আমাকে এড়িয়ে চলছো"?
যদি আপনার জীবনে এমন কেউ থাকে তাহলে
তাকে গুরুত্ব দিন। তার এই না থাকতে পারা,অন্যকিছু
না ভাবতে পারা, খারাপ লাগা, দমবন্ধ হয়ে আসা,
আপনাকে ভেবে লাগতে থাকা এইসব অস্থিরতার যত্ন নিন।
কারণ এখনকার দুনিয়ায় মানুষের জন্য মানুষের
খারাপ লাগে না। সুতরাং আপনার প্রতি যদি কারো
এমন অকৃত্রিম অস্থিরতা থাকে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখুন।
অবহেলা করবেন না। অবহেলায় অস্থিরতা মরে যায়।
সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ইরেজার আর কিছু নেই।
বাবা-মা হারানোর মতো শোকও একটা সময়
ম্লান করে দেয় সময়। সুতরাং যে মানুষটা আজ
আপনার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ করছে, যত্ন না নিলে
কিংবা ক্রমাগত অবহেলা করতে থাকলে–
একটা সময়; সময়ের ইরেজারই এই টান মুছে দেবে।
উপেক্ষিত হতে হতে অপেক্ষার আগ্রহ হারিয়ে যাবে।
আপনাকে ছাড়া না থাকতে পারা সেই মানুষটা
একটা সময় দিব্যি একা থাকতে শিখে যাবে।
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
১৪।
আপনি যেনো কেমন;
মান বুঝেন না, মন বুঝেন না
অনুভূতি শূন্য হইলে মানুষ করে যেমন,
আপনি হইলেন তেমন।
আপনাকে তো সঙ্গ দেবার
মানুষ আছে অনেক,
আমার সে তো আপনি ছাড়া
শূন্য হাজার খানেক!
কবিতা : আপনি যেন কেমন
বিরামচিহ্ন - A Poetry Book By Salman Habib
১৩|
পৃথিবীতে মানুষ যে জিনিসটার সবচেয়ে বেশি
ভুল কিংবা অপব্যবহার করে সেটা হচ্ছে আবেগ।
আমরা যার- তার জন্য অনূভুতি পুষে রাখি।
যোগ্য অযোগ্য খুঁজি না,ভুল শুদ্ধ বুঝি না।
সময় পেরিয়ে গেলে দেখি;
পুষে রাখা আবেগ মূল্য ছাড়া বাঁচে,
যত্নে গড়া অনূভুতিরা ভুল মানুষকে আঁকড়ে ধরে আছে!
আমরা তখন কষ্ট পাই।
আসলে যে বা যারা আমাদের পুষে রাখা
আবেগ অনূভুতির উপর ছুরি চালাচ্ছে
সেই মানুষ গুলোর কোন দোষ নেই।
দোষ আমাদের,দোষ আমাদের নিজেদের,
গুরুত্ব পাব না জেনেও দিনের পর দিন
তাদের পিছনে পড়ে থাকার।
তা না হলে একটা মানুষের জন্য,
বাহ্যত কোন বন্ধু বা প্রিয়জন ছেড়ে যাবার জন্য
আমরা যে পরিমাণ মন খারাপ করি
কান্নাকাটি করি,তার অর্ধেকও যদি
আল্লাহর জন্য করতাম তাহলে
আল্লাহর অনেক প্রিয় হয়ে যেতাম।
এমনকি যে বা যাদের জন্য
এতসব মন খারাপের আয়োজন তাদেরকেও
আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারতাম।
🖤 কবিতায় গল্প বলা মানুষ🖤
১২।
যে বা যাদের জন্য যত বেশি এফোর্ট দিবেন, দিনশেষে তাদের কাছে ততবেশি দোষী সাব্যস্ত হবেন। সেটা হোক পরিবার কিংবা বাইরের মানুষ। এই পৃথিবীতে সবাইকে নিয়ে একসাথে সুখী হতে চাওয়াটা বোকামি। ধরেন, কাউকে প্রথমদিন পাঁচ টাকা দিলে পরেরদিন আর পাঁচ টাকা দিয়ে তাকে খুশি করতে পারবেন না। সে দশ টাকা প্রত্যাশা করবে, দশ টাকা দিলে পরেরদিন তার প্রত্যাশা গিয়ে দাঁড়াবে পনেরো টাকায়, তারপর বিশ, তারপর পঁচিশ। এইভাবে ডে বাই ডে বাড়তেই থাকবে। এবং ধরেই নিবে যে এটা তার প্রাপ্য; অধিকার। কোনো কারণে যদি না দেন কিংবা দিতে ব্যর্থ হন তখন আপনি খারাপ হয়ে যাবেন। অথচ একটা সময় কিছু না দিয়েও ভালো ছিলেন। পৃথিবী বড় আজব জায়গা। এখানে মানুষ আপনাকে ভাসমান দেখলে ডুবতে দেখতে চাইবে, আর ডুবে গেলে– দেখতে চাইবে কতক্ষণ তলিয়ে থাকতে পারেন। যেন ডুব প্রতিযোগিতা; উঠে গেলেই মজা শেষ!
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
১১।
ধরো,
• কোন এক কুয়াশা ঢাকা ভোর। তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে!
শহুরে কোলাহল ছেড়ে- দূরের কোনো এক অজপাড়াগাঁ। তুমি আর আমি, দুটি মাত্র মানুষের বাস!
চাষাবাদ করেই কেটে যাচ্ছে দিন, ঘরে পাঁকা গিন্নি তুমি। সবে সংসার পেতেছি, এক জোড়া হাঁস, দু'টো মুরগী আর উঠোনে ছড়ানো সবজি বাগান!
কোন একদিন-
সদ্য হাল শেষে ঘরে ফিরেছি আমি, তুমি ঘাট থেকে পানি এনে রান্না সেরে ক্লান্ত হয়ে আছো, কাঁদা মাড়িয়ে নদী থেকে পানি আনতে গিয়ে ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে সব, শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়েছো মাত্র, সবে হাত পা কিছুটা উষ্ণতা ছড়াতে শুরু করেছে!
এমন সময় আমি যদি বরফ শীতল হাত দুটি তোমার গলায় ছুঁইয়ে দিয়ে বলি; ভালোবাসো?
তুমি কি হুট করে হাত সরিয়ে নেবে? নাকি চমকে ওঠে হাত দু'টি টেনে ধরে খানিক উষ্ণতা মেখে দিয়ে বলবে; 'ভালোবাসি' 'ভালোবাসি'!
১০। একদিন আমরা সবাই চলে যাই-
কেউ একটু বেশি মায়া রেখে যাই,কেউ একটু কম।
মাঝে আরও কিছু অভিমান কিংবা আবদার রেখে যাই।
এরপর একদিন সবাই ভুলে যায়-
শুধু ক্যালেন্ডারে চলে যাওয়ার তারিখটা থেকে যায়।
আমি এখনো অপেক্ষায় থাকি, কেউ একজন আমার বিদায় বেলা বলে উঠবে-
যাই বলবেন না, বলুন আসি।
-নৈ:শব্দের ঘোর
Lines: Ethar Akhtaruzzaman
Vocal: Tamrunnaher Tethi
Video :Collected
৯। ডাকনাম ভুলে গেলে সর্বনামে ডেকো - তবুও চিঠি লিখো।আমি বেশ আছি, ঠিক যেমন থাকে শহরের শেষ বাসে ফেরা উদাসীন কোন যাত্রী।
চিঠি দিও - অক্ষরে না দিলে অন্তত নীরবতায় দিও।
ইতিতে না হয় অতীতের নামটাই রেখো - তবুও না হয় চিঠি লিখো।
-নৈ:শব্দের ঘোর
Writer: Ethar Akhtaruzzaman
Vocal: Tamrunnaher Tethi
BGM: Saregama music
৮। আমি অভিযোগ জমা রাখতে পারিনা।
আমি শুধু মনে রাখি,আমার খারাপ লেগেছিলো!
আমার কষ্ট হয়েছিলো!🥀
-আদর্শ মাইতি
#lines #poetrylovers
#tamrunnaher_tethi
Video:Happy Soul
Vocal:Tamrunnaher Tethi
৭। কতরকম যে সম্পর্ক হয় পৃথিবীতে! মানুষকে যে কত রকমের সম্পর্ক পেরিয়ে আসতে হয় জীবনে! আমি দেখেছি মানুষ ভালোবেসে বিয়ে করে তারপর দু'জন-দু'জনকে কষ্ট দেয়। আবার এও দেখেছি দু'জন-দু'জনকে সারা জীবন ভালোবাসলেও কাছে আসতে পারে না। স্পর্শ করতে পারে না। শুধু দূর থেকে ভালোবেসে যায়। অনেকটা পৃথিবী আর সূর্যের মতো। দু'জন- দু'জনকে ছাড়া থাকতে পারে না, কিন্তু কাছেও আসতে পারে না।
- আলোর গন্ধ, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
Vocal:Tamrunnaher Tethi
BGM: Saregama music
Video: Shubhanjan
৬।
যখন মানুষ বুঝে যায়, নিজের দু:খ-কষ্ট ও বেদনার দায় কেবল তার নিজেরই। তখন মানুষ নিজেকে লুকিয়ে একা বেঁচে থাকতে শুরু করে। সে জেনে যায়, এই পৃথিবীতে সবাই যার-যার, তার-তার। কারও জন্য কেউ নয়।🥀
Vocal : Tamrunnaher Tethi
Lines: Asaduzzaman Jibon
BGM: Farhat Tarannum|| Video: Porimoni
৫।তোমার সঙ্গে আমার বোধহয় অনেক জন্ম আগের পরিচয়।
বোধহয় তোমারই অপেক্ষায় ছিলো শূন্য এ হৃদয়। আমি জানি,সব প্রেমের গল্প মিথ্যে। তবু, তোমার-আমার গল্পটা যেনো শেষ অব্দি সত্যি হয়।✨
Vocal: Tamrunnaher Tethi
Lines & Video: Collected
৪।
আমার চেয়েও ভালো কিছু পেয়ে কেউ আমাকে ছেড়ে গেলে, আমার দুঃখ লাগে না।
আমি চাই না, কেউ আমাকে পেয়ে পিছিয়ে যাক। হেরে যাক, আফসোস করুক কিংবা মন ছোটো করে বাঁচুক! আমি চাই, প্রত্যেকেই জিতুক! জীবনে এগিয়ে যাক, মন খুলে বাঁচুক!
.
.
Lines & Video : Collected
Vocal: Tamrunnaher Tethi
৩।
আমাদের আসা যাওয়ার মাঝে, এটুকুই তো চাওয়ার থাকে- দুজনার একটা ঘর হবে। সেই ঘরের দু:খ আর সুখের পরেও অন্য একটা জগৎ থাকবে। যে জগতে দুটো সাদাসিধে মানুষ থাকবে।আর থাকবে অনেকটা বোঝাপড়া।
লোকে বলবে সংসার,আমরা বলব জীবন।🌸
©️Debjyoti
Vocal: Tamrunnaher Tethi
Video: Collected
২।
"ভালবাসি, ভালবাসি"
___সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার
টেবিলে বসে আছ,
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-
ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত..
খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু
চাপ দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত
হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার উপর
তপ্ত রোদ,বাহন
পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত
দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,এমন
সময়
তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি-
ভালবাস?
তুমি কি বকা দেবে?
নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার
গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল
গলায় বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়েযায়,
মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার
অনুভুতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার
মুখের
দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম
শ্বাস আমার
শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,প্রচন্ড
যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,
শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
জিজ্ঞেস করলাম-
ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?
নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস
দেবে,বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ
তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত
বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাস? কটাক্ষ করবে?
নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত
বুলাতে বুলাতে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয় নেই
বিধাতার দান এই
পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার
বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাস?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-ভালবাস?
চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই
আমাকে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,না থাকলেও দূর
থেকে ধ্বনি তুলো
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি..
দূর থেকে শুনব তোমার কন্ঠস্বর,বুঝব
তুমি আছ,তুমি আছ
ভালবাসি, ভালবাসি...........
১।
জলের অভাবে মরতে বসা ছাদের ফুল গাছটার মতো একটু নিজের হৃদয়ের যত্ন নেও। আব্বার পাঞ্জাবির পকেট গলিয়ে পরা খুঁচরা পঁয়শা তুলে মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করার মতো বুকের ভিতরে অনুভূতি সঞ্চয় করো। মায়ের যে দুঃখ আছে সে দুঃখ যেমন বিশ্বাস করে তেমন করে বিশ্বাস করো চিরকাল কেউ কাঙাল থাকে না। সবার একখান মানুষ হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর খুনির শুষ্ক ঠোঁটেও কোনএক নারী কাঁপা কাঁপা আবেগ নিয়ে চুমু খায়, রাতের রানী নিশিকন্যাকেও দারুণ প্রেম নিয়ে জড়িয়ে ধরে কোন এক যুবক।
মনের দরজায় তুমি যে তালা লাগিয়েছো, তোমার চারপাশে তৈরী করেছে যে অভিমানের দেওয়াল, অনেকদিন খুলোনি বলে মাকড়সা ছোটোখাটো একটা সংসার পেতে বসেছে যে জানালায়। ওই দরজার সামনে কেউ একজন বিশ্বাস নিয়ে কড়া নাড়বে, ওই দেয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে হু-হু করে ঢুকে যাবে তোমার মনের এফোঁড়ওফোঁড় প্রেম নিয়ে, ওই জানালা খুলে তোমাকে দেখাবে নতুন ভোর।
একদিন একটা মানুষ তোমারও হবে। ও তোমার সব গোপন জেনে নিবে, চুমু খাবে তোমার প্রতিটি গোপন ক্ষততে। দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝ রাত্তিতে ঘুম ভেঙে গেলে সে তোমার বুক হবে, চোখের নিচের কালো দাগ মুছে দিতে সে তোমার আদর হবে। গোটা পৃথিবীর পিছনে ফেলে সে হাঁটুগেড়ে বসে থাকবে তোমার পাশে। আমার কাউকে লাগবে না বলে জেদ ধরা তোমার ওই জেদকে তুলোর মতো উড়িয়ে দিয়ে সে এমনভাবে চাইবে তোমায়, যেন তোমাকে চাওয়া ছাড়া, পাওয়া ছাড়া তার আর কোন স্বপ্ন নাই, ইচ্ছে নাই, লক্ষ নাই।
নিজের মনের যত্ন নাও। ওরকম একটা মানুষের জন্য হলেও নিজের মনের যত্ন নাও। ওই মানুষটা জীবনে এলেই তোমার সব দুঃখগুলো সুখ হবে, তুমি আবার ভরসা করবে, তুমি আবার প্রেমে পড়বে, তুমি আবার ভালোবাসবে। ওই মানুষের ভালোবাসা তোমাকে আবার বলতে বাধ্য করবে, জীবন এত ছোটো কেনো?...
লেখা: আরিফ হুসাইন।