![]() |
Towfiq Sultan |
1. 🍂 আমাকে হারাতে দিলে, নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর।
একটা হিজল ফুলের গাছ, একটা শান্ত পুকুর ঘাট,ঘাটের পাশে_ পাখি, পাখির নামটি_ ডাহুক পাখি হলে,
তাহার দুটি চোখ
চোখের ভেতর মায়া,
মায়ার ভেতর _তোমার নামটি লেখা।
একটা আদিগন্ত মাঠ, মাঠের পাশে ঘর,
ঘরের পাশে__ একটা সজল দীঘি।
অনন্ত এক কাব্যকথার রাত, রাতের ভেতর দিন, দিনের ভেতর _তোমার আমার হাজার খেরোখাতায়, হাজার স্মৃতির ঋণ।
একটা হাতের ছোঁয়া, ছোঁয়ার ভেতর ছায়া,
ছায়ার ভেতর আটকে থাকা তুমি,
তোমার সকল কান্না দহন দিন।
চারদেয়ালের ভেতর হঠাৎ হাওয়া,
হাওয়ার বুকে ঘুমপাড়ানি গান, গানের ভেতর মন।
একটা অমল আকাশ, আকাশজুড়ে ইচ্ছেমত ওড়া, রাত পোহাবার বাঁশি।
একটা অশত্থ গাছ, গাছের পাশে জলের কলরোল।
ভালবাসার নহর।
বুকের ভেতর নদী।
এসব__ হারাও যদি?
এই শহরটা জানে, এমন করে কনক্রিটের বুকে,
আর কাঁপে না কেউ।
কারো হৃদয় আর কাঁদে না, কেউ দেবে না আর,
এমন মায়া মেখে।
আমার ছোট্ট বুকের ভেতর কেবল, কাঁপতো হৃদয়, কাঁদতো ভীষণ, তোমায় ভালোবেসে।
আর কে এমন, ভালোবাসার দামে,
কিনবে তাহার প্রহর?
আমাকে হারাতে দিলে, নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর। 🍂
....সাদাত হোসাইন
2.
এই যে অসংখ্য মানুষ ফেলে _আমি চলে আসি তোমার কাছে,
অজস্র পথ রেখে_ চলে আসি তোমার পথে,
এই যে জগতের সব প্রাপ্তি উপেক্ষা করেও
আমি অপেক্ষায় থাকি তোমার।
তুমি কি তা বুঝতে পারো?
এই যে জলের মতন আমার বুকেও ছলাৎছলাৎ শব্দ হয়,
এই যে মেঘের মতো আমার বুকেও বিষাদ জমে।
এই যে বৃষ্টির মতো আমার চোখেও কান্না হয়।
তুমি কি তা বুঝতে পারো?
এই যে অগণন ঠিকানা রেখেও আমি চিঠি লিখে যাই তোমার ঠিকানায়,
অগুনতি আনন্দ ফেলেও আমি দুঃখ পেতে যাই তোমার কাছে।
এই যে অসীম আকাশ ফেলেও আমি বন্দি হতে চাই তোমার খাঁচায়।
তুমি কি তা বুঝতে পারো?
জানি পারো না, তাতে দুঃখ নেই আমার।
কারণ, ভালোবাসা কিংবা দুঃখতো জানেই, এ সিঁড়িতে পথ নেই নামার!
~ সাদাত হোসাইন
৩। আমারে যে ভালোবাসতে পারলো না।
সে অন্য কাউরে ভালোবাসুক।
সে টের পাক!
টের পাক!! কতোটা তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে কাউরে ভালোবাসা লাগে।
কতোটা তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ; কাউরে ভালোবাসা লাগে!!
৪|
আমাকে একটু কথা পাঠাবেন?
আপনাকে খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।
'ভালোবাসি' পাঠাতে হবে না।
ভালো তো বাসেনই না।
সেটা আমি জানি।
টের পাই!
ভালো যে বাসেন না, সেটাই বলে পাঠান।
আমাকে অপছন্দ আপনার, এইটুকু বলে পাঠান।
তবুও একটু কথা পাঠান, প্লিজ!
আমার না আপনাকে খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।
খুউব মানে খুউব!
'বিষম ভীষণ' এর মতোন!
- Salman Habib - সালমান হাবীব
কবিতায় গল্প বলা মানুষ
৫|
অনুভূতি এক অদ্ভুত জিনিস!
আপনার জন্য যার কোনো অনুভূতি নাই,
তার সামনে আপনি
কাতরাতে কাতরাতে মরে গেলেও
তার কিছু আসবে যাবে না।
আবার আপনার জন্য যার অনুভূতি আছে;
আপনার হাতের আঙুলে সুঁই ফুটলেও
তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকবে।
সুতরাং আপনার জন্য যাদের কোনো অনুভূতি নেই
এমন মানুষদের সামনে নিজেকে সংযত রাখুন।
বই : আমায় তুমি ফিরিয়ে নিও ফুরিয়ে যাবার আগে
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
৬।আকাশনীলা,
ঘুমিয়ে পড়েছেন নিশ্চয়!
অথচ দেখুন, আমি জেগে আছি।
জেগে আছে মধ্যরাতের আকাশ।
তার বুকে গুটি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে দ্বাদশীর চাঁদ।
অবাক জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে মাটির পৃথিবী।
আচ্ছা,
আপনার ঘরে কি জানালা আছে?
এখন কি খুলে রেখেছেন?
নাকি মনের কপাটের মতো
জানালাতেও এঁটে রেখেছেন খিল!
মাঝে মাঝে জানালাটা খুলে রাখবেন।
হুড়মুড়িয়ে প্রবেশ করা রাতের
শীতল বাতাসটা খানিক ছুঁয়ে দিবেন।
চাঁদের নরম আলো এসে পড়বে চাঁদমুখে।
দেখবেন আপনার ভালো লাগছে।
জানেন,
এইসব হিম হিম শীতের রাতে
আকাশে দ্বাদশীর চাঁদ দেখে
আমার কেবল চাঁদমুখ দেখতে ইচ্ছে করে।
জানেন,
মাঝে মাঝে আমার আকাশ হতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে চাঁদমুখ না হলেও
আমার বুকে একটা চাঁদ থাকুক।
শুকতারা হয়ে কেউ একজন বলুক- 'আমি আছি'।
কবিতা : প্রযত্নে আকাশ
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
৭।
পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আসলে
মানুষের জন্য পারফেক্ট না।
আবার থাকতে থাকতে একটা সময়
জেলখানার প্রতিও মায়া জন্মে যায়।
দীর্ঘ দিন বয়ে বেড়ানো একটা অসুখ–
সেরে উঠার পর অসুখের দিনগুলোর কথা
মনে পড়লে সেই অসুখটার জন্য মন খারাপ লাগে।
হেঁটে যেতে যেতে পথপাশে দেখা একটা ফুল,
অচেনা বাড়ির বেলকনি,
বিকেলের মিহি রোদ নেমে আসা ঝুল বারান্দা–
এসবের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
দূরপাল্লার বাসে বা ট্রেনে মুখোমুখি সিটে বসা
একজোড়া চোখের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
শয্যাশায়ী অবস্থায় ভর্তি হওয়া হাসপাতাল–
সেরে উঠার পর চলে এলে সেই কেবিন, নার্স,
সকালের পাউরুটি ডিম আর ইন্টার্ন ডাক্তারের
মৃদু হাসির কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।
ভালো না লেগেও ছেড়ে আসা এইসব জেলখানা,
তীব্র বেদনা নিয়ে বয়ে বেড়ানো অসুখ,
পথপাশে বেড়ে উঠা ফুল, অচেনা বাড়ির বেলকনি,
মিহি রোদ নেমে আসা ঝুলবারান্দা,
মুখোমুখি সিটে বসা একজোড়া চোখ,
অসুখের দিন, হাসপাতাল, নার্স, পাউরুটি ডিম
আর ইন্টার্ন ডাক্তার– এসবের জন্য খারাপ লাগে।
আর আপনাকে তো ভালোবাসি।
তাই আপনাকে ছেড়ে এলে
কিংবা আপনি আমায় ছেড়ে গেলে–
আপনার জন্য মরে যাবার মতোন মন খারাপ লাগে।
বই : কবি তার কবিতার (প্রকাশিতব্য)
আমার কেউ নেই , কেউ ছিল না এটা অভিমানে বলছি না অনুভবে বলছি । যারাই এসেছিল আমার জীবনে তাঁরাই আমাকে আলো ভেবে পথ চিনে বাড়ি ফিরে গেছে । নিঃসঙ্গ ল্যাম্প পোষ্টের মত বহুকাল দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ভেবেছি বিধাতা আমার জন্য কাউকে বানায়নি ।
এক মাথার উপর আকাশ ছাড়া আমাকে কেউ ভালোবাসেনি । প্রচন্ড তৃষ্ণায় কথা বলার জন্য যখন প্রিয় মানুষটাকে খুঁজেছি তখন হাতড়িয়ে দেখতাম শুনশান নিরবতায় একটা মাথার উপর চাঁদ দাড়িয়ে তা ও অন্যের আলোয় আলোকিত ।
আমার কেউ নেই কেউ ছিল না । এ অনুভূতিটা বড্ড বাজে । আমি নিঃসঙ্গ আকাশ হয়ে আজন্ম শূন্যে ভেসে যাই এক আকাশ দুঃখ বুকে চেঁপে ।
~মাসুমা ইসলাম নদী
৯|
তীব্র ভালোবাসা বা তীব্র মায়া কখনোই ভালো হতে পারে না। নিকোটিনের প্যাকেটে যেভাবে লেখা থাকে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি তোমার গায়েও লেখা উচিত ছিল, "আমায় ভালোবাসা ক্ষতিকর।" একপাক্ষিক ভালোবাসা আমায় আচ্ছন্ন রাখে বিষন্নতায়। কিছু জিনিস ক্ষতিকারক হলেও তাকে ভালোবাসি আমরা, ''যেমন তুমি।''
১০|
বলছি না আজ কিংবা কাল
কিংবা হতেই হবে এমনও কোনো কথা নেই।
তবুও একদিন—
কোনো একদিন যদি ফিরে এসে দেখেন;
আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষটি আর নেই!
খানিক হলেও চমকে যাবেন কি?
কিংবা বুকের ভেতর একটুখানি মোচড়!
তালাবন্ধ ঘরে চাবি নিয়ে ফিরে
ভাঙা তালা দেখা সেই ব্যক্তির মতোন;
একটুও হলেও কি মন খারাপ হবে আপনার?
তালাবদ্ধ ঘরে গচ্ছিত সম্পদ নিয়েও তো
কতটা দুঃশ্চিন্তায় থাকে মানুষ!
অথচ তালাহীন আমাকে রেখে গিয়ে
এতটা উদাসীন কীভাবে থাকেন!
নিজেকে আজকাল বন্ধ দরজায় থাকা
অপেক্ষমাণ তালার চেয়েও তুচ্ছ মনে হয়।
তালার জন্যও তো চাবি নিয়ে অপেক্ষায় থাকে হাত,
আমার জন্য অপেক্ষায় থাকে না কেউ; কোনো প্রভাত!
বন্ধ দরজায় ফিরে এসে ভাঙা তালা দেখে
মানুষ বিচলিত হয়, উদ্বেগ প্রকাশ করে,
ভাঙচুর আমাকে দেখে ভ্রুক্ষেপ নেই আপনার,
যেন আমিই আটকে আছি আমার হাশরে!
বই : আমায় তুমি ফিরিয়ে নিও ফুরিয়ে যাবার আগে
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
১১।
শুনো তোমায় একটা গল্প শুনাই।
ছোটবেলায় কখনো আমার ভাত আর তরকারী একসাথে শেষ হতো না।
আগে ভাত না হয় তরকারী__
কোনোদিন ভাত আর তরকারী সঠিক পরিমাণ মতো নিতে পারিনি।
এ নিয়ে আমার মনে দুঃখের ও শেষ ছিলো না।
জানো,আমি কখনোই একাধিক কাজ এক সাথে ব্যালেন্স করতে পারিনা।
এই ধরো তোমার কথাই
তোমাকে ভালোলাগার পর থেকে কাউকে আর তেমন ভালো লাগে না।
তোমার কাছে আকাশ সমান তীব্র অবহেলা কিংবা হাস্যরসের কারণ হয়েও__
যত্ন নিয়ে তোমাকেই ভালোবেসে যাই।
আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
তুমিকি রোজ সন্ধ্যায় আকাশে একটা কাক দেখো?
কাকটা'না আমারে রোজ ভয় দেখায়
কাকটিকে কি তুমি শিখিয়ে দিয়েছিলে ভয় দেখাতে?
নাকি সে স্বেচ্ছায় একজন ভীতু মানষ কে ভয় দেখায়?
আচ্ছা,ধরো তুমি একজন সুদর্শন সু-পুরুষ কে বিয়ে করলে।
দেড়-দুই লাখ টাকা বেতনের অফিসার,
যে মাসে মাসে তোমাকে সিঙ্গাপুর, দুবাই ঘুরতে নিয়ে যায়।
হাজার পঞ্চাশেক টাকার শাড়ি চুড়িও কিনে দিবে।
পাজেরো কিংবা মার্সেটিজে চড়বে তুমি।
ব্যস্ত স্বামী হয়তো দেখতেই পারবে না তখন।
মার্সেটিজে বসে তোমাকে কেমন লাগছে।
আচ্ছা ধরো না,
একদিন কাঁপুনি দিয়ে তোমার জ্বর এলো!
জ্বরে কপাল পুড়ে যাচ্ছে
তোমার স্বামী হয়তো অফিস থেকে একটু দেরি করেই আসবে।
নাহলে যে কর্মচারীরা ফাঁকি দিবে কাজে।
যার ফলে লক্ষ কোটি টাকা হবে লোকসান__
বলো তুমি সেদিন কি তোমার স্বামী
আমার মত তোমার মাথায় জলপট্টি দিয়ে গল্প শোনাবে?
কপালে একটা চুম্বন এঁকে হাতটা জুড়ে চেপে ধরে আমার মতো করে কি বলবে__
আমি তোমার পাশেই আছি
কোথাও যাবো না।
সেদিন কি সে তোমাকে আমার মতো করেই ভালোবাসবে?
বলো সে কি কোনোদিন তোমায় আমার মতো ভালোবাসতে পারবে?
উত্তরটা তোমারও জানা।
সে তোমায় আমার ধারে কাছেও ভালোবাসতে পারবে না।
তবুও তুমি তাকেই বিয়ে করবে
আর নিজেকে বঞ্চিত করবে__
একজন অসহায় দূর্বল মানুষের ভালোবাসা থেকে-
তখন তুমি কোটি টাকার ডায়মন্ড রিং পাবে
যে গুলো হয়তো আমার পাঁচ টাকা দামের কলমে লিখা চিরকুটের কথাগুলোকে
দারুণ ভাবে তোমাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে__
তুমি হয়তো অভিমান করে বলছো ভালো তো সবাই থাকতে চায়। এতে কিসের অন্যায়?
না, আমি বলছি না অন্যায়।
তুমি ভালো থাকবে এই খবর আমি পাব__
তখন আমার চেয়ে বেশি ভালো আর কার লাগবে বলো।
তবে তাই যেন হয়
সবাই তো কত কিছুই পায় বলো...!!
আজীবন ফেল করা ছাত্রটাও একসময় পাস করে।
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকা ছেলেটাও থাকার মতো জায়গা পায়।
কাউকে ভালোবেসে বাঁচবো না বলা ছেলেটাও
রূপবতী কোনো এক মেয়েকে বিয়ে করে সুখেই থাকে।
কোনো ভাগ্যবান পুরুষও আবার তোমার মতো লক্ষি একটা মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পায়।
বলো তো.! শুধু আমিই কেনো মানুষ হারাই.!!
আমিই কেনো তোমাকে হারাই..??💔🖤
লেখা : কাজী আব্দুল হালিম সানী
১২।
তোমার জন্য যতটা পথ হেঁটেছি, ততটা পথ হাঁটলে-
আমি পৌঁছে যেতে পারতাম জেরুজালেম,
আমার প্রিয়তম শহর।
তোমার জন্য যতটা রাত কেঁদেছি,
ততটা কান্নায় আমি ছুঁয়ে দিতে পারতাম মেঘ,
বরষায় ভিজিয়ে দিতে পারতাম তৃষ্ণার্ত সাহারা।
যে দহনে রোজ পুড়ে গেছি,
তাতে জ্বেলে দিতে পারতাম অজস্র- গনগনে ভিসুভিয়াস।
যতটা তৃষ্ণায় গুনে গেছি অপেক্ষার প্রতিটি প্রহর
ততটা মেটাতে পারে সাধ্য নেই সাইবেরিয়ার।
যতটা ডুবে গেছি রোজ, যতটা উবে গেছি রোজ,
যতটা ভেসে গেছি চুপ, যতটা বেহিসেবী ডুব,
সবটাই মিশে গেছে ওই।
তোমাকে পাওয়া হলে দেখি
এই আমি, সেই আমি নই।
~ সাদাত হোসাইন
১৩।
আমার তোমার জন্য আর কোনো অনুভূতি নেই। দুঃখ তো আরো নেই। তোমাকে ছাড়া এখন আমার একদিন কেন.? পুরাটা জীবন চলবে। হেসে খেলে চলবে। তোমার জানা উচিত - তোমার জন্য আমি মানুষের উপর বিশ্বাস হারাই নাই, হারাবো ও না। যে সময় তোমার আমার অবিশ্বাসের কিছুই যাই আসে না। ঠিকই কেউ না কেউ সেই একই সময় আমার বিশ্বাসের দাম রাখে। কাজেই আমি টিকে থাকব। আজ হোক কাল হোক তুমি বুকে ধাক্কা খাবা! নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করবা, আমাকে তুমি কেমনে হারাইয়া ফেললা? আমাকে আর ফিরে পাওয়া যাই না কেন ? মান অভিমানের এই সস্তা ব্যাপারটা তোমার মধ্যে ও ঘটবে। ছেড়ে আসার এই চিন চিন ব্যাথা টুকু তোমার ভিতরে ও নাড়া দিবে ঠিকই ! শুধু সময়ের অপেক্ষা! মিলিয়ে নিও..!!
— Collect
১৪।
জানেন, মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে—
আপনার দেওয়া আমার একটা ডাকনাম থাকুক।
আপনি কারনে অকারনে সেই নাম ধরে ডাকবেন।
কিন্তু আমার তো পোড়া কপাল! কী জানি—
ডাকনাম পাবার মতো অতটা প্রিয় হয়তো হতেই পারিনি!
হয়তো হবোও না কোনোদিন। এইসব কিছু আমি জানি।
সবকিছু জেনেও অহেতুক মনের ভেতর
ভুল ইচ্ছাটাকে পোষ মানিয়ে রাখি।
আপনার ব্যাপারটা আমার ঠিক বিপরীত।
এইসব উড়ো মেঘের মন, আকাশকুসুম ভাবনা,
বুকের ভেতর পুষে রাখা ইচ্ছের গাংচিল,
কিংবা না দেওয়া প্রিয় ডাকনাম;
এসবের কিছুই আপনাকে স্পর্শ করে না।
তবুও নিজে পাওয়া ডাকনামের মতো
আপনাকেও আমার একটা ডাকনাম দিতে ইচ্ছে করে। কারনে অকারনে ডাকতে ইচ্ছে করে সেই নাম ধরে।
আচ্ছা শুনুন, খুব বেশি রাগ না করলে
আমি আপনাকে 'সকাল' বলে ডাকবো।
মাঝে মাঝে আদুরে গলায় বলবো 'আমার সকাল'।
আপনি কিন্তু রাগ করতে পারবেন না প্লিজ!
___প্রযত্নে আকাশ
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
15.
ইদানীং তোমাকে মনে পড়ে খুব!
এমনিতে যে মনে হয়না তা কিন্তু না
স্বরচিত বর্ষার ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো
সারাক্ষণ মনে পড়তেই থাকে,
তবে কখনো কখনো ভাসিয়ে নেওয়া
ঝুম বৃষ্টির মতো তোমাকে মনে পড়ে!
যে মনে পড়ায়– মনও পুড়তে থাকে
যে মনে পড়ায়– জানান দিতে বাধ্য করে;
শোনো, তোমাকে মনে পড়ছে খুব!
কী এমন সাধনা করায়ত্ত করেছো তুমি!
কেনো এমন পুড়ে যাবার মতো করে
মনে পড়তে থাকে তোমায়!
কোনো ওষুধে উপশম হয় না,
কোনো দেয়ালে করা যায় না আড়াল!
শুধু জানান দিতে ইচ্ছে করে–
যেভাবে ঝুম বৃষ্টিতে ছন্দ তুলে ভিজে যায় টিনের চাল।
#আমায়_তুমি_ফিরিয়ে_নিও_ফুরিয়ে_যাবার_আগে
সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ
16.
আমারে কেউ কইলো না আমার আপনারেই লাগবে,,, কেও কইলো না এই যে আপনি আমারে ভালোবাসেন আমিও আপনারে ভালোবাসি,,,, কইলোনা আপনারে ছাড়া আমার দম বন্ধ লাগে বুকের ভিতর শূন্য শূন্য লাগে,,,, কেউই আমারে কইলো না আপনারে আমার বুকের ভিতর আগলাইয়া রাখতে মন চায়,,, একটা বার ও কইলো না আপনার অভাবে আমার অসুখ-বিসুখ হয়,,,, রোজ নিয়ম করে মা'রা যাই,,, আপনি কেন টের পান না কেওই কইলো না...?
✍️Rupkotha
17.
চরমভাবে কারো কাছে ঠকে যাওয়ার পর দু'একবার আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসে... সমস্ত পৃথিবী গোল্লায় যাক তাতে “আমার কিচ্ছু আসে যায়না” এমন একটা ভাব তৈরি হয়। দু’একবেলা না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দিয়ে নব্য দেবদাস মনে হয় নিজেকে। ইমোশনাল ভিডিও দেখে হাউমাউ করে কেঁদে দিতে ইচ্ছে করে।
রাত যায় ভোর হয়…. তারপর বিরক্তিভরা মন একটু একটু করে শীতল হয়ে আসে... সদ্য প্রেমিকের বাইকের পিছনে বসে সা করে চলে যাওয়া গোলাপী ঠোঁটের মেয়েটাকে ভালো লাগে…. তারপর লোকালবাসে হিজাবের আড়ালে বেরিয়ে থাকা কাজল চোখের মেয়েটার প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করে।
কেউ ঠকিয়ে গেছে... কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে... এমন অসংখ্য বুকপোড়া যুক্তি থেকে মানুষ মুক্তি খোঁজে। মানুষ ভুলে যেতে ভালোবাসে হোক প্রেম কিংবা বিরহ। মানুষ প্রকৃত অর্থে মরে যাওয়ার চিন্তা করে নিজেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য... স্বার্থপর হয়ে মানুষ আনন্দ পায়।
ভণিতা করে কষ্টে আছি বলতে ভালোবাসে.... সিম্পেথি পাওয়ার লোভ— মানুষকে অভিনয় শেখায়... কেউ চলে যাওয়ার চেয়ে সে কতটুকু দুঃখী আর বিষন্নতায় জর্জরিত সেটা আড্ডায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।
“বিখ্যাত অভিনেতা টমহ্যাংস বলেছিলেন- আমি প্রথমবার ঠকে যাওয়ার পর সারারাত কেঁদেছিলাম। দ্বিতীয়বার ঠকে যাওয়ার পর নেশা করেছিলাম। তারপর আমি ঠকানোর গল্প বলে বন্ধুদের বিমোহিত করার চেষ্টা করতাম, ওরা আমাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতো। বন্ধুদের মন খারাপ হয়ে উঠা আমাকে আনন্দ দিতো। আমি মূলত আনন্দিত হতে চাইতাম”!!
মনোযোগ প্রিয় মানুষ কাউকে ভালোবাসার চেয়ে নিজেকে গোপনে ভালোবাসে। ঠকে যাওয়ার গল্প শুনিয়ে আশেপাশের মনোযোগ পেতে ভালোবাসে। নতুন মানুষের সন্ধি করার তৎপরতায় বাউন্ডলে সেজে থাকতে ভালোবাসে। যত দুঃখের ভান... যত আয়োজন... সবকিছুর নিজের জন্য।
ভালো না থাকার কারণ হিসাবে সম্পর্ককে টেনে আনা কেবলই মানুষের বাহানা। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতেও মানুষ অল্টারনেট ভালো থাকার পথ খোঁজে। মানুষের দেবালয়ে মানুষ নিজেই ঈশ্বর আবার নিজেই পূজারী।
রিপোস্ট
লাইন : সংগ্রহ, কন্ঠ : তৌফিক সুলতান
18.
অভিশাপ
- কাজী নজরুল ইসলাম---দোলনচাঁপা
০৬-০৬-২০২৩
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মর” কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি’
যেদিন আমায় খুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-
জাগবে হঠাৎ চমকে!
ভাববে বুঝি আমিই এসে
ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
বেদ্নাতে চোখ বুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুজবে।
গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আস্বে যখন কান্না,
ব’লবে সবাই-“ সেই য পথিক তার শেখানো গান না?’’
আস্বে ভেঙে কান্না!
প’ড়বে মনে আমার সোহাগ,
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি
ঘন ঘন মুছবে-
বুঝ্বে সেদিন বুঝবে!
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ-
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
প’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!
বুকের মালা ক’রবে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা
মুখের হাসি ঘুচবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি,
থাকবে সবাই – থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী!
আসবে শিশির-রাত্রি!
থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন,
থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন,
বঁধুর বুকের পরশনে
আমার পরশ আনবে মনে-
বিষিয়ে ও-বুক উঠবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না ক আ সে-
তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে,
আসবে না ক’ আর সে!
প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে
মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে,
মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়!
সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায়
কাঁটা হ’য়ে ফুটবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,
সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-
দুলবে তরী রঙ্গে,
প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতে
এক তরীতে ছিলেম সাথে,
এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,
নদীর দু’ধার এমনি আঁধার
তেম্নি তরী ছুটবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ,
আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ-
সখার কারা-বন্ধ!
বন্ধু তোমার হান্বে হেলা
ভাঙবে তোমার সুখের মেলা;
দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর,
বইতে প্রাণের শান- এ ভার
মরণ-সনে বুঝ্বে-
বুঝবে সেদিন বুঝ্বে!
ফুট্বে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী,
আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদ্নী-
চৈতী-রাতের চাঁদ্নী।
ঋতুর পরে ফির্বে ঋতু,
সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু!
চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়,
আমার মতন চোখ ভ’রে চায়
যে-তারা তা’য় খুঁজবে-
বুঝ্বে সেদিন বুঝ্বে!
আস্বে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন,
কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন-
টুটবে যবে বন্ধন!
পড়বে মনে, নেই সে সাথে
বাঁধবে বুকে দুঃখ-রাতে-
আপনি গালে যাচবে চুমা,
চাইবে আদর, মাগ্বে ছোঁওয়া,
আপনি যেচে চুমবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে।
আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হান্ত,
সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান–
আসবে তখন পান’।
হয়ত তখন আমার কোলে
সোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে,
আপনি সেদিন সেধে কেঁদে
চাপ্বে বুকে বাহু বেঁধে,
চরণ চুমে পূজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
20।
তোমার ছোঁয়ায় কদম ফোটে
🍁অনন্ত:- কেমন আছো তুমি?
বৃষ্টি ঝরার শব্দ শুনতে পাও?
অমৃতা:- বেশ ভালো, বৃষ্টি ঝরার শব্দ?
হ্যাঁ... পাচ্ছি তো।
🍁অনন্ত:- বৃষ্টি ঝরলেই তোমাকে খুব মনে পড়ে।
অমৃতা:- তাই! এখন তো কদম ফুলের সময়, তাই না?
🍁অনন্ত:- শেষের দিকে
অনেক আগে থেকেই তো ফুটছে!
অমৃতা:- কদম বোধ হয় অমাবস্যা পূর্ণিমা দেখে ফোটে
🍁অনন্ত:- হবে হয়তো কিন্তু তুমি নিজেই তো আমার কাছে পূর্ণিমা।
আলাদা করে পূর্ণিমা কী দরকার!
ভরা- পূর্ণিমা তুমি,
টলমলে পানিতে তার আলো।
অমৃতা:- পূর্ণিমা জানতে পারলে লজ্জা পাবে।
🍁অনন্ত:- একদমই না, একটা কদম গাছ পেলে ছুঁয়ে দিও,
দেখবে ফুল ফুটতে শুরু করবে।
অমৃতা:- তাই কি হয়?
🍁অনন্ত:- তুমি ছুঁয়ে দিলে হয়।
আমি সেদিন কদম নিয়েই বসে ছিলাম
তোমাকে দেবো বলে,
তুমি আসবে কদম রঙের শাড়ি পরে
আর আমি, তোমার মাথায় কদমফুল গুঁজে দেব।
অমৃতা:- আর আমি তোমাকে বৃষ্টি ভেজা শাড়িতে
ভালোবাসায় জড়িয়ে নেব।
🍁অনন্ত:- বৃষ্টি ঝরবে অবিরাম
মেঘের আড়ালে লজ্জাবতী চাঁদ
উকি দেয়া পূর্ণিমার আলোয়----- তোমার
দু'চোখের পানে তাকিয়ে রবো।