Search Suggest

কবিতা - ৭

❝অসীম জ্ঞানদ্বারা বেষ্টিত জানা অজানা সবইতো, দিনের পরেই আসে রাত্রি আমরা মৃত্যুর পথযাত্রী। ❞ মৃত্যুর সময় মানুষের জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মৃত্যুর সাথে

 



❝অসীম জ্ঞানদ্বারা বেষ্টিত জানা অজানা সবইতো,
দিনের পরেই আসে রাত্রি আমরা মৃত্যুর পথযাত্রী। ❞
মৃত্যুর সময় মানুষের জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া মানুষটিই মহাজ্ঞানী। 
২০।" প্রশংসা পরাক্রম"
কেউ প্রশংসা করলে খারাপ সময়ে পাশে থাকলে অকাজের লোকটাও একটা সময় সফল হয়।
প্রশান্তির নদী প্রবাহিত হলে দূরে থাকে ভয়!
 ভালোবাসা পেলে পাথরের হৃদয়েও ফুল ফুটে।
 পাশে থাকার নিশ্চয়তা পেলে হতাশ মানুষটার হৃদয়ে আশার আলো উজ্জীবিত হয়ে উঠে।
 সঠিক জীবনসঙ্গী পেলে মৃত্যুর পথ যাত্রীও বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। 
স্রষ্টার সন্ধান পেলে বান্দার মস্তক সিজদাহ্য় অবনত হয়ে যায়।

১৯। প্রিয় সন্ন্যাসী
তোমার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলেও কি আর করার! আমি তোমাকেই অগাধ বিশ্বস্ততা নিয়ে ভালোবাসি।
অমিত অমিল অবহেলায় অনিবার্য অনির অন্বয়ী অনিয়ম।
পানির তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে শান্তি খুঁজি তবুও পানি পান করি না।
কেউ পানি দিলেও তা গ্রহণ করি না ফিরিয়ে দেই।
তোমার অপেক্ষায় থাকি।
উপেক্ষা করি সবই-আমি জানি তুমি একদিন ঠিকই;
আমার জন্য হৃদয় শীতল করা পানি নিয়ে আসবে প্রিয় সন্ন্যাসী।
অনির - অসাধু।
অন্বয়ী - ঐক্য।
অমিত - অপরিসীম,ভয়ঙ্কর।
১৮। ❝মহাজ্ঞানী❞
যিনি জানেন স্রষ্টার বানী; তিনি হলেন মহা জ্ঞানী,
যারা স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করেছেন,
তাদের মধ্যে এক দল হলো নবী।
কেমন করে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করা যায়, 
সেই কথাটাই দিন রাত্রি ভাবি।
ভাবিয়া ভাবিয়া সময় অতিবাহিত করে নাহি কোনো কাজ!
সফল হতে হলে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করতে হবে আজ।
স্রষ্টা মোদের সামান্য জ্ঞান দিয়ে করেছেন সৃষ্টি;
চারপাশে তাকিয়ে দেখো কি দেখতে পাও দৃষ্টি।
সকল জ্ঞানের উৎস তিনি আমরা সবাই জানি।
তিনি ছাড়া আর কিছু নাই তাও আমরা মানি।
যদি তুমি হয়ে যাও নিঃস্ব জ্ঞানই তখন হবে তোমার একমাত্র শিষ্য।
বদলে যাওয়া পৃথিবীর আবরণ দেখিবে; দেখিবে চমকপ্রদ দৃশ্য। 

১৭। ❝ভবিষ্যৎ সংবাদ❞
যাহা ভুল তাহা ভুল জীবন নিয়ে চলছে হুলুস্থূল;
সময় ঠিকই চলে যাচ্ছে মাথায় নিয়ে চুল,
আজব ড্রেসে লাগছে তোমায় লাগছে বিউটিফুল।
এই সমাজের নিয়মনীতির নাই যে কোনো কূল।
আসবে বিশ্ব নেতা, কাজ করবে যথা।
দেখবে মানুষ তাকে,নেতা বলে কাকে।
ইচ্ছে করবে পূরণ, মানুষ তাকে করবে অনুসরণ। 
বিশ্বকে করবে একত্রিত,সুখ-শান্তি থাকবে নিমন্ত্রিত।

১৬। ❝দৃশ্য তার উড়ন্ত পাখি❞
আকাশে দৃশ্য তার উড়ন্ত পাখি
সামনে এগুতে দেখি সবকিছু বাকি!
সখি তোমার সক্ষতার প্রতীক্ষার ইতি,
অভিমানে অভিযোগ হয়ে আছে স্মৃতি!
বাউলের মনে; নেই কোনো শান্তি 
দুঃখ ভরতি জীবনে বৃদ্ধ অশান্তি!!
সাত সাগর তেরো নদী দিতে হলে পাড়ি,
একদিন ঠিকই যাবো; আমি তোমার বাড়ি! 
আমার কাছে তুমি মানে রঙিন ফুল পরী।
মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে একটু জড়িয়ে ধরি!
ভালোবাসি বলে বলে দাও তুমি ফাঁকি, 
আড়ালে বসে আমি সব কিছু দেখি।
 কিছু কিছু বিষয় লিখে আমি রাখি।
হৃদয় যন্ত্রণা চোখের প্রকাশে শরীরে মাখি। 

১৫। ❝কেন ভালোবাসছো না আমায় ❞
   
আমায় কেন ভালোবাসছো না আমায় ভালোবাসলে জীবনটা অন্যরকম হবে।
তোমার ভালোবাসা পেলে আমার জীবনটা বদলে যাবে। 
বিষাদময় বিষন্নতা দীর্ঘশ্বাস নির্জনতা দৌড়ে পালাবে।
এই যে তোমার ভাল্লাগেনা কোনো কিছুতে মন বসে না; দুশ্চিন্তায় থাকো মুখ ভারকরে রাখো!
অকারণে মনখারাপ থাকে তোমার; নিজেকে অসহায় লাগে বড্ড একা একা লাগে।
আমাকে ভালোবাসার পর এর কোনোকিছুই তোমাকে আর স্পর্শ করবে না।
অকারণে মনখারাপ হবে না আর—
তোমার হৃদয়ে কঠিন নিরাপত্তার আড়ালে লুকায়িত ভালোবাসা কে মুক্ত করে দিও দেখবে তোমার ভালো লাগবে।
 নিজেকে হাল্কা লাগবে ভালোবাসার স্নিগ্ধ অনুভূতি নিয়ে ভালো লাগার মহাসমুদ্রে হারিয়ে যাবে তুমি।
কেন বুঝতে পারছো না!
তোমার ভালোবাসা দিয়ে উষ্ণ করো আমার হৃদয়;
 কেন আমাকে খুঁজে নিচ্ছো না হারিয়ে যাবার আগে। 
আর কতো টা সময় অপেক্ষায় রাখবে—
আর কতটা সময় আগলে রাখবে আমি না থাকার নিঃসঙ্গতা-টাকে—
অবুঝের মতো তুমি কষ্ট দিচ্ছো তোমার ভালোবাসার কথা যাকে।
 আমার ভালোবাসা থেকে কেন নিজেকে আড়াল করে রাখছো।
  নিজেকে বঞ্চিত করছো তোমাকে ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকা এক দুর্বল প্রেমিক কে___
যে কি-না প্রতিটা সময় প্রতিটা মুহুর্তে তোমাকে ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকে।
My Love can be motivation of your survival.
— Towfiq Sultan 
১৪। ❝কুটিলতা❞
কুটিলতা দিয়ে আচ্ছন্ন কুটিল মানুষ গুলো সমাজের কাছে প্রশংসনীয় তারা ধন্য ধন্য ধন্য।
সমাজের বুকে ধুলো মেখে হয়ে আছে অন্যন্য।
দেখেও না দেখার ভান করে অভিমান। 
ধুলোই মিশিয়েছে আত্মমর্যাদা মানসম্মান।
কার কি কি এসে যায় তাতে বলি দেওয়া প্রাণ।
তবুও থাকবে ভালো তারা; দিন কাটবে হাসিমুখে
তাদের আঘাতে পাশ্ববর্তী মানুষ থাকুক না দুঃখে।
যন্ত্রণা দ্বারা আহত হলেও কার কি বা এসে যায় তাতে।
ক্ষতস্থানে ঔষধের পরিবর্তে আঘাত; তিক্ত নুনের ছিটা নিদারুণ চিত্তদাহ তিব্র থেকে তিব্র হয় যাতে।
এই তিব্র যন্ত্রণা নিয়ে আকুতির চিৎকার হয়ে উঠে অমানুষিক আচরণ। 
সর্বত্র প্রশংসনীয় অত্যাচারী চারপাশে ষড়যন্ত্রকারীর বিচরণ।
তুমি লাঞ্চিত তুমি বঞ্চিত অবিরত হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ।
তুমি অযোগ্য মুল্যহীন অশোভন তুমি মন্দ! কারণ অত্যাচারী অত্যাচারে তোমার রক্ত হচ্ছে ক্ষরণ!!

১৩। ❝মৃত্যুর পথ যাত্রী ❞
মরতে যাওয়া মানুষ কে সবাই ভালোবাসে কিন্তু ধীরে ধীরে পুনরায় অবহেলায় রাখে।
ঠিক যেমন ভাবে মৃত মানুষকে সময়ের সাথে সাথে ভুলে যেতে থাকে।
অবহেলা করে বিদ্বেষ পোষণ করে।
মুখোশের আড়ালে মানুষ ষড়যন্ত্র করে।
কিছু মানুষ কখনো তার ভুল বুঝতে পারে না।
কারণ তারা ভুলের মধ্যেই থাকে।
তাদের কাছে থাকা জ্বলন্তআগুনে সব পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলে অথচ তারা তা উপলব্ধি করে না।
এই নিষ্ঠুর মানুষ গুলোর থেকে তার কাছের মানুষ গুলোও রেহাই পায় না।
 তারা সবাইকে গ্রাস করে ফেলে।
তারা মানুষ কে মানষিক যন্ত্রণায় রাখে বিভিন্ন ছলেবলে কলাকৌশলে।
সবশেষে প্রশ্ন করে কি পেলাম হেই বিশ্ব ধাত্রী, 
আমি মৃত্যুর পথ যাত্রী।
১২। ❝পথভুলা পথিক❞
অযাচিতমোহ কেটে গেলে মানুষ তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
 ফিরে এসে দেখে অনেক দেড়ি হয়ে গিয়েছে।
ততক্ষণে তার এই অযাচিত মোহ ধ্বংস করে দিয়েছে
 তার চারপাশ।
তবুও কিছু মানুষ বেঁচে থাকে দুঃখনিয়ে এক আকাশ।
অবিধেয় চাওয়া কখনো না পাওয়া 
অনিশ্চিত জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহ অধিক।
চারদিকে ঝাপসা অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া
আমি এক পথভুলা পথিক।
১১। ❝ দিক ভ্রান্ত নাবিক❞
তোমার তৈরি করা কৃত্রিম সংকট
আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।
দেহটাকে ফেলে রেখে 
আত্মাটাকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজ আমি আশাহত পথিক
দিক ভ্রান্ত হওয়া নাবিক।
যার চারপাশে নেই কোনো কিছুর ঠিক।
১০। ❝জ্ঞানের সংস্পর্শ ❞
থাকো জ্ঞানীর আশেপাশে
সত্য জ্ঞানের উন্মেষে।
থাকবে ভালোর সংস্পর্শে
বিজয় তোমার সবশেষে।
শান্তি যদি পেতে চাও
সঠিক পথ বেছে নাও!!
ভালোর দিকে যদি যাও
ভালো মন্দ বুঝে খাও। 

৯। "মূল্যবান অনুভূত"
ভালোবাসা সব থেকে মূল্যবান অনুভূতির মধ্যে অন্যতম একটি।
 ভালোবাসা নামক অনুভূতি যেমন মানুষের জীবন ও তার চারপাশকে আলোকিত করতে সক্ষম।
একই পদ্ধতিতে ভালোবাসা নামক অনুভূতি মানুষ জীবন ও চারপাশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিতে অপ্রতিরোধ্য উদ্যম।
যখন ভালোবাসা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে মানুষ তখন এই স্নিগ্ধ অনুভূতির বিপরীতে কাজ করে ঘৃণা,বিদ্বেষ যন্ত্রণায় কাতরানো জ্বলন্ত আগুনে ডুবে থাকা হৃদয়।
মানুষ কারোর কাছে ঠকে গেলে চরমভাবে অবহেলিত হলে তার মাথায় বাসা বাঁধে আত্মহত্যা নামক ব্যাধি।
তখন কিছুই ভালো লাগে না তার ভালো কথাও বিষাক্ত মনে হয়। 
বিষাক্ত মনে হয় তার চারিপাশ ভালো কথাও ভাল্লাগেনা আর—
হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে হয় রাগ হয় সেই মানুষটির উপর যার জন্য তার এই অধ: পতন।
নিজের উপর বিরক্ত লাগে আনমনা হয়ে ভাবে জ্ঞান স্বল্পতা এর কারণ —
যদিও সে জানে আত্মহত্যা বারণ কিছুই করার নেই ততক্ষণে সে অবচেতন।
 জরুরী হয়ে পরে তখন হৃদয় প্রশান্তিময় প্রিয়জন।
আমার এই মুহূর্তে আপনার মানষিক সাপোর্ট প্রয়োজন।
 সেই প্রিয় মানুষ টি পাশে না থাকলেও একটা সময় পর মানুষটি হয়ে উঠে অনেকের আপন।
৮। "মাতৃত্ব কথন "
মাতৃত্বের টান বেঁচে যাওয়া প্রাণ
সহ্য করে নেয় হাজার অপমান।
ভুলে যেতে জানে মান অভিমান।
যতোই বলো জান তুমি বুদ্ধিমান।
হৃদয়ের গহীনে কোনে অসম্মান।
ঠিকই থেকে যায় হাজার অপমান।
৭। হে প্রিয় রাসূল
তোমাকে দেখিনি কবু
হে প্রিয় রাসূল।
শূন্য মরুর বুকে তুমি
ফুটিয়েছ ফুল।
জাহিলিয়াতের যুগে যারা
চোখ রেখেও ছিল অন্ধ!
তাদের দেখিয়েছ আলো
বন্ধ করছে তুমি যুগ যুগ ধরে 
চলে আসা দ্বন্দ্ব।
কোরআন কে যারা বলে ছিলো 
যাদু কিংবা কবিতার ছন্দ।
তারা-ও হয়েছে মুসলিম 
পেয়েছে ইসলামের পতাকায় ঠাই
কালিমার সাক্ষ্য দিয়েছে চন্দ।
এই কালিমার দাওয়াত
কতো বাঁধা বিপত্তি করছে বন্ধ।
ডাকাত হয়েছে ভালো
ছেড়ে কতো কাজ যা কিছু মন্দ।
হে প্রিয় রাসূল, 
কালিমার দাওয়াতে বিশ্ব করেছ জয়।
আজ কেন তবে,
মুসলিম উম্মাহ তিলে তিলে হয়ে যাচ্ছে ক্ষয়।
হে প্রিয় রাসূল,
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে কিসের এতো ভয়।
আসুক ফিরে ঐক্য 
ভুলে যাক যতো ভুল ইনশাআল্লাহ হবেই
 হবে মুসলিমদের জয়।

৬। ❝অসমাপ্ত ❞
যেখানে আমার কোনো কাজ নেই সেখানে আমার না থাকাটাই ভালো।
এই অনুভূতিটা সত্যি অনেক বিষাদের তবে এরূপ সিদ্ধান্ত কখনো কখনো কেরে নেয় আলো।
মানুষের এই ছোট্ট জীবনে অনেকবার হুঁচোট খায় ফের আবার ঘুরে দাঁড়ায়।
ঘুরে না দাঁড়ানো মানুষ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া অক্সিজেনের মতো অস্তিত্ব হারায়।
নিজের করা ভুলে অমীমাংসিত সমস্যায় ঝুলে;চুল রাখে খোলে।
ভুলের পিঠে ভুল জেদ করা চুল ; সংশোধিত ভুল হ'য়ে উঠে ফুল।   
নিজের করা ভুলের দিকে না তাকিয়ে বাজনা বাজায় অন্যের এক অসহনীয় তালে।
নিজস্ব মূর্খতার ফলে সব চলে যায় জলে কথা রাখার ছলে কতো কিছুই না বলে।
যাহা সমাধান তাহা থেকে নিজেকে রাখে বিরত; না শুঁকানো ক্ষত।
আঘাত হানে বুকে অশ্রু জড়োক যত রক্তক্ষরণ অবিরত।
কথায় আছে মাছ ঢাকতে ব্যবহৃত শাক ; নিজের ভুল ঢাকতে ব্যবহৃত রাগ।
কাজের কথা না বলে বলে অন্য কথা যেন মুছে যায় তার কলঙ্কের দাগ।
কিছু কিছু ঘটনা হয়ে উঠে তিক্ত সময়ের আদলে কথা দ্বারা হৃদয় রক্তাক্ত। 
এভাবেই কিছু বিষয় ক্ষতবিক্ষত ভাবে কল্ক স্বভাবে সময়ের অভাবে ঘটে সমাপ্ত।
৫। ❝ মহাবিদ্যা❞
তোমাকে দূরদর্শী হতে হবে শত্রুর থেকে থাকতে হবে এক পা এগিয়ে।
তুমি কে কি তোমার পরিচয় শত্রুদের দিতে হবে বুঝিয়ে। 
ইচ্ছে পূরণ করতে চাও? না কী!? শুনবে উপদেশ!!
আপনি এই ভাবে কেন বলছেন,আমায় করুন আদেশ।
মিথ্যার মধ্যেও থাকে সত্য সত্যির মধ্যে মিথ্যা;
সত্য পর্যন্ত পৌঁছাতে তোমাকে জানতে হবে সব
অর্জন করতে হবে মহাবিদ্যা।
৪। ❝মুসলিম উম্মাহ্❞
কি হলো আজ এই উম্মাহর, একত্রিত না হয়ে 
একে অপরের বিরুদ্ধে করছে কাজ।
নেই কোনো লাজ প্রতারণা করছে মুসলিম পরিচয় দিয়ে ; অসাধু মনোভাব লুকিয়ে নিচ্ছে সাজ।
লোভে পরে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে এই সমাজের বুকে।
টাকার জন্য করছে এইসব থাকবে ভেবে সুখে।
আজ যে গুলো কে সঠিক মনে হচ্ছে কাল হয়তো এইগুলো কেই মনে হবে বেঠিক।
বিবেচনা করে দেখো আমরা এক দিক ভ্রান্ত পথিক;
দিক ভ্রান্ত হয়ে সবাই ছুটছি এদিক ওদিক।
ভুল কেও কখনো মনে হয় ঠিক যেমন ভাবে সঠিক কেও মনে হয় বেঠিক।
আমরা সবাই এক দিক ভ্রান্ত পথিক। 
৩। ❝অহমিকা❞
একসাথে মিলানো কিছু তাবু তা নিয়ে একটা বসতি; বাবু। 
এখানে রয়েছে শত্রুর আশংকা জঙ্গলি পশুর ভয়;
এসবের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের হতো জয়।
ছিলো হতাশা অভাব অনটন তবুও শান্তি ছিলো ছিলো একতা হরদম।
আজ কি হলো মোদের হিংসা বিদ্বেষ মোদের করেছে গ্রাস!
দালান-কোঠা টাকা-পয়সা অহমিকা হয়েছে আপন দুঃখের সাথে জীবন জাপান অশান্তির ত্রাস।
বিদীর্ণ হয়ে আছে মন ঔষধ পেয়েও করি না সেবন,
অপেক্ষায় আছি অপেক্ষায় থাকবো তোমাকে পেলে করিবো আপন।
২। ❝ক্ষতবিক্ষত রক্তে রক্তাক্ত ❞
যদি আমাকে আঘাত করতে ইচ্ছে করে,
কষ্ট দিতে ইচ্ছে হয়; তবে আঘাত করুন ক্ষত বিক্ষত করুন আমার দেহ।
তবুও আমার হৃদয়ে আঘাত করবেন না! প্লিজ পিছন থেকে ছুড়ি মারবেন না ! আমার সাথে বন্ধুত্ব করে চারপাশে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে আমাকে হেনস্তা করবে না।
মানুষ শারীরিক আঘাত যতটা সহজে হজম করতে পারে। পিছনে থেকে ছোড়ার আঘাত ততোটা পারে না। মিষ্টি কথার জালে ফাঁসিয়ে যারা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চাচ্ছেন তাদের দ্বারা আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে! আমার পবিত্রতায় রক্তে হয়েছে রক্তাক্ত। যুদ্ধ ঘোষণা করছি তাদের বিরুদ্ধে নিঃশেষ করবো তাদের এই আমার ব্রত।
সূর্য থেকে আলো নিয়ে নিজেকে উজ্জ্বল দেখায় সুখ তাঁরা। ধ্বংস তাদের হবে অবশ্যই হবে বিশ্বাস ঘাতক যারা। 
এইবার মোরা চাঁদ নয় হবো সূর্য যার আলোয় আলোকিত হবে বিশ্ব।
ষড়যন্ত্র কারীদের করবো বিনাশ করবো তাদের ধ্বংস। 


১। ❝ক্ষমাপত্র ❞

তৌফিক সুলতান 


হে আমরা সৃষ্টিকর্তা আমি ভুল করে ফেলেছি
 আমি অপরাধ করেছি আমি নিজের উপর জুলুম করছি।
 আমি আপনার সৃষ্টি হয়েও আমি একজন অপরাধী আমাকে ক্ষমা করুন।
 আমি দেড়ি করে হলেও বুঝতে পেরেছি, 
 আমি যে কতো বড় অপরাধ করে ফেলেছি। 
 আমি পথভ্রষ্ট হয়েছি সব কিছু গুলিয়ে ফেলেছি, নিজের নফস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি।
 আমাকে ক্ষমা করুন আমার রব আমাকে ক্ষমা করুন। 
 আমি সঠিক পথে চলতে চাই আপনার হুকুম মেনে নিজেকে পরিচালনা করতে চাই।
 আমি আপনার একজন ভালো বান্দা হতে চাই,
  হে আমার রব আমাকে কবুল করুন। 
নিজেকে অসহায় লাগছে সামনে শুধু অন্ধকার দেখছি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না হে আমার রব আমাকে পথ দেখান।
কিভাবে আপনার প্রিয় বান্দা হতে পারবো আমাকে বলে দিন শিখান আমাকে সেই পদ্ধতি।
আপনি আমার জন্য যথেষ্ট আপনি আমাকে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করুন। 
শুধু আপনার অবাধ্য বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত না করে আপনার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
হে মহান সৃষ্টিকর্তা আমি তো আপনার-ই সৃষ্টি। 
আমি ধৈর্য না ধরে উদ্বত দেখিয়েছি ধৈর্য হারা হয়ে উন্মাদনায় মেতেছি আমি অপরাধ করেছি।
আমি ভুল করেছি আপনাকে কষ্ট দিয়েছি বোকামো করেছি আপনার কথা শুনিনি!
 দেড়ি করে হলেও বুঝতে পেরেছি আমাকে ক্ষমা করুন।
আমার করা ভুল গুলোর জন্য আমি কষ্ট পাচ্ছি আমি অনুতপ্ত আমাকে ক্ষমা করুন।
আমি দিক ভ্রান্ত হয়েছি সত্য-মিথ্যা সঠিক-বেঠিক গুলিয়ে ফেলেছি।
কখনো বুঝে না বুঝে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় দিক ভ্রান্ত হয়ে অপরাধ করে ফেলেছি আমি আমার সকল ভুল স্বীকার করছি।
সত্যি বলছি আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি!আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। অলিন্দে কেউ নেই! 






আহত দৃষ্টি ফিরে আসে বার বার। 

রোজ বিকেল, খোলা বাতায়ন, 

গ্রীলের গারদে বাড়ানো হাত। 

চোখে চোখ, বাতাসে আলাপন, 

টোল গালে হেসে ওঠা ঈষৎ দৃষ্টিপাত। 


কিছুই নেই,

সবই আজ স্মৃতির দখলে। 

অথচ অভ্যাসগুলো রয়ে গেছে আজও।

এখনো দিনশেষে বিকেল নামলে 

আমি আনমনা হয়ে যাই,

স্মৃতির পায়ে পায়ে হাঁটি।

অভ্যাসের দৃষ্টিতে চোখ রাখি তোমার অলিন্দে।


জানি, ওদিকে তাকালেই 

ফের আহুত হবে দৃষ্টি!

কিন্তু স্মৃতির আকুতি যে 

দৃষ্টির আহুতি অপেক্ষা কঠিন!


প্রিয় অনিন্দিতা!

জানো, মাঝে মাঝে দৃষ্টিভ্রম হয়।

দেখি তুমি ফিরে এসেছো। 

বাতাসে হাসির শব্দ ভাসে 

অলিন্দে খেলা করে তোমার খোলা চুল।


চলতে চলতেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে যাই।

তাকিয়ে দেখি; খোলা বাতায়ন, 

আর অলিন্দে কেউ নেই!


কবিতা : অলিন্দে কেউ নেই 

সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ 

Welftion Human Welfare Association

إرسال تعليق

আকর্ষণীয় পুরুষ্কার পেতে দ্রুতই আপনার দক্ষতা দেখান আমাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব কে

উপহার পেতে আপনাকে ওয়েলফশন দিয়ে কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, চিঠি,গল্প, নিবন্ধন,কলাম, বই বা আপনি যা ভালো পারেন তা লিখে আমাদের গ্রুপে পোস্ট করতে হবে।  এবং আপনার লিখার সাথে  ছবি, নাম,ঠিকানা, ই-মেইল, মোবাইল নাম্বার লিখে ই-মেইল করতে হবে। E-mail :  towfiqhossain.id@gmail.com Welftion.help@gmail.com   towfiqsultan.help@gmail.com আকর্ষণীয় পুরুষ্কার পেতে দ্রুতই আপনার দক্ষতা দেখান আমাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব কে Post Group Links :  https://www.facebook.com/ groups/welftion.community/? ref=share_group_link Drive Upload:  https://drive.google.com/ drive/folders/ 1s5QptcKMbmVnxlWtwatP- B2JGLI2wj4o শর্ত: আপনি যা-ই লিখেন বা তৈরী করেন তাতে ওয়েলফশন শব্দ লগো কে হাইলাইট করতে হবে। তা হতে হবে সত্য ন্যায়, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং কল্যাণের আহ্বান যা মূলত কল্যাণেন প্রতিনিধিত্ব করবে ..! গল্প তৈরি করতে পারেন ওয়েলফশন নগরী নিয়ে। তাছাড়া আপনার পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়ে উপহার পেতে পারেন।   যেমন : ছবি, সফটওয়্যার তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, Android App's, Building, 3D,Animation, যে কোনো কিছু হতে পারে। আক...

কবিতা -১০

  তৌফিক সুলতান ছবি তুলেছেন  আমাকে একটু ভালোবাসা যাবে? খুবই স্বল্প পরিমাণ। না তার থেকেও কম; একেবারেই কম, যাবে? একটু ভালোবাসা যাবে? আমার একটু যত্ন নেওয়া যাবে? একদমই কম। ধরো আমি তোমাকে বললাম "আমার মন খারাপ" তুমি বললে "অসুবিধা নেই একটু পর ঠিক হয়ে যাবে।" মন ভালো না হোক শুধু এই অল্প যত্নটুকু নেওয়া যাবে? আমি বোধহয় খুব অল্প কিছুর অভাবে মা/রা যাবো। আমাকে তুমি সেই অল্প টুকু দিবে? #লেখা: সংগৃহীত https://www.facebook.com/share/r/1dKvvfdodd/ 2.   তুমি একদিন আমাকে দারুন ভাবে অনুভব করবে, কিন্তু ততদিনে আমাকে হারিয়ে ফেলবে আর নিজেকে বার বার প্রশ্ন করতে থাকবে আমি কিভাবে আপনাকে হারিয়ে ফেললাম অথচ মানুষটা আমার সামনেই ছিলো। এখন তুমি হয়তো ভিতরে ভিতরে মুচকি মুচকি হাসচ্ছ কিন্তু বিশ্বাস করো তুমি চাইলেই আমাকে ভালোবাসতে পারতে। চাইলেই বলতে পারতে আমার আপনাকেই লাগবে। তোমার মুখ থেকে এই কথা গুলো শুনবার জন্য কতোটা সময় অপেক্ষা করেছি তুমি কী? বলতে পারো!? জানি বলতে পারবে না! কারণ তোমার অনুভূতি যে হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাতে-ই পারে নি। আমি সব সময় একটা কথা বলি পৃথিবীতে সব থেকে জরুরি হলো হৃদয়বান হওয়া।  জনো আম...

কবিতা রেকর্ড -১

তৌফিক সুলতান  ২০।  শুনচ্ছো; আমি দেখেছি কিভাবে অপেক্ষারা উপক্ষাতে বদল হয়। নির্ঘুম রাত্রি শেষে আধার নিয়ে আসে ভোর।  তোমার নামে বেরিয়ে আসা দীর্ঘ শ্বাস বলে নীল আকাশ ছুঁতে আর কতো দূর।  এতোটা অপেক্ষায় রেখোনা তারপর একদিন ফিরে এসে দেখবে ; তুমি আসার আগেই মৃত্যু এসে নিয়ে গেছে আমায়। যেহেতু মৃত্যুর অভিধানে 'অপেক্ষা' বলে কোনো শব্দ নাই। ভালোবেসে যে তোমাকে মনে রাখে নি  অহেতুক ঘৃণায় তাকে সরণে রেখে কি লাভ বলো? তারচেয়ে বরং তোমার প্রর্থা জুড়ে না থাকুক সেই ভুল মানুষটার অভাব।  তোমাকে আমি সব সময় ভালোবাসি এটাই আমার স্বভাব।  তুমি আমার দুঃখ সুখ-   ১৯| পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আসলে  মানুষের জন্য পারফেক্ট না।  আবার থাকতে থাকতে একটা সময়  জেলখানার প্রতিও মায়া জন্মে যায়।  দীর্ঘ দিন বয়ে বেড়ানো একটা অসুখ–  সেরে উঠার পর অসুখের দিনগুলোর কথা  মনে পড়লে সেই অসুখটার জন্য মন খারাপ লাগে।  হেঁটে যেতে যেতে পথপাশে দেখা একটা ফুল,  অচেনা বাড়ির বেলকনি,  বিকেলের মিহি রোদ নেমে আসা ঝুল বারান্দা–  এসবের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।  দূরপাল্লার বাসে ব...

Send Whatsapp Query