Search Suggest

বৃষ্টি হয়ে দিও ছুঁয়ে

 

প্রথম অধ্যায়: হারিয়ে যাওয়া স্পর্শ

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়, নীহারিকা জানালার পাশে বসে, অতীতের স্মৃতিতে ডুবে আছে। পাশে পড়ে থাকা চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া স্পর্শের স্মারক।


নীহারিকার চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে আসা শহরের আলো, একপাশে নরম কুয়াশা মাখা সন্ধ্যা। জানালার পাশে বসে সে একমনে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা যেন তার ভেতরের অতীতের স্মৃতিকে ধুয়ে আনছে।

আরাফ একসময় বলেছিল, "তুমি যদি কখনো হারিয়ে যাও, আমি বৃষ্টি হয়ে তোমাকে ছুঁয়ে যাব।" কথাটা তখন হাসির খোরাক ছিল, কিন্তু আজ বৃষ্টির প্রতিটি স্পর্শে যেন সেই কথা মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে না।

দ্বিতীয় অধ্যায়: স্মৃতির পথ ধরে

নীহারিকা আর আরাফের পরিচয়টা হয়েছিল হুট করে, এক সন্ধ্যায়। কলেজের লাইব্রেরির করিডোরে আরাফ হঠাৎ করেই বলেছিল, "বৃষ্টি পছন্দ করো?" নীহারিকা অবাক হয়েছিল, কারণ তার হাতে তখনো ভিজে থাকা একটা বই ছিল, নাম—"বৃষ্টি বিলাস"।

এই ছোট্ট প্রশ্নের মাধ্যমেই দু'জনের জীবনে শুরু হয়েছিল নতুন এক অধ্যায়। আরাফ ছিল একজন মুক্তচিন্তার মানুষ, যে বিশ্বাস করতো ভালোবাসা মানে মুক্তি, বন্ধন নয়। আর নীহারিকা? সে ছিল ভালোবাসার একান্ত খোঁজে থাকা এক পথিক।

তৃতীয় অধ্যায়: হারানোর গল্প

সময়ের পরিক্রমায়, জীবন তাদের একসাথে থাকতে দেয়নি। কঠোর বাস্তবতা, পরিবার, সমাজের চাপ—সব মিলিয়ে তারা আলাদা হয়ে যায়। নীহারিকা ভেবেছিল, সময় সবকিছু ভুলিয়ে দেবে। কিন্তু আজ এত বছর পর, বৃষ্টি নামলে এখনো তার মনে হয়, যেন কেউ তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।

চতুর্থ অধ্যায়: ফিরে আসার সম্ভাবনা

এক সন্ধ্যায় হুট করেই একটা চিঠি আসে নীহারিকার ঠিকানায়। সেখানে লেখা, "আমি প্রতিটি বৃষ্টির মাঝে ছিলাম, আছি। তুমি কি একবার ফিরে তাকাবে?—আরাফ।"

নীহারিকার বুক ধক করে ওঠে। সে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখে, বৃষ্টি নামছে। এবার কি সে সত্যিই তাকে ছুঁয়ে যাবে?

পঞ্চম অধ্যায়: পুনর্মিলন

বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় নীহারিকা কাঁপতে থাকা হাতে চিঠিটা ধরে রাখে। এত বছর পরও এই কালি আর কাগজ যেন তার হৃদয়ের গভীরে না বলা কোনো অনুভূতি উসকে দেয়।

সন্ধ্যার ম্লান আলোয় সে পুরনো দিনের কথা ভাবতে থাকে। তাদের হাসি, ভালোবাসা, ঝগড়া—সবই কি এতটা বছর পরও টিকে আছে? না কি এ শুধু এক মায়ার প্রতিচ্ছবি?

পরদিন সকালে নীহারিকা সিদ্ধান্ত নেয়, সে আরাফের সঙ্গে দেখা করবে। হয়তো এই বৃষ্টি এবার সত্যিই তাকে ছুঁয়ে যাবে, হয়তো সময়ের ব্যবধান মুছে যাবে এক বিন্দু বৃষ্টির ছোঁয়ায়।

ষষ্ঠ অধ্যায়: পুনরায় দেখা

নীহারিকা নির্ধারিত জায়গায় এসে দাঁড়ায়। চারপাশে ছাতা হাতে ব্যস্ত মানুষগুলো ছুটে যাচ্ছে, কিন্তু তার চোখ খুঁজছে শুধু এক মুখ—আরাফ।

হঠাৎ করে এক পরিচিত কণ্ঠস্বর, "তুমি আসবে জানতাম।" নীহারিকা ফিরে তাকায়, আরাফ দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই হাসিটা মুখে, যেটা একসময় তার পৃথিবী ছিল।

সপ্তম অধ্যায়: অতীতের ছোঁয়া

দুইজন মুখোমুখি বসে, দীর্ঘশ্বাসের ফাঁকে ফাঁকে হারিয়ে যাওয়া সময় ফিরে আসে। আরাফ বলে, "এই শহর, এই বৃষ্টি—সব কেমন যেন আমাদের অপেক্ষায় ছিল।"

নীহারিকা হেসে বলে, "বৃষ্টি তো কখনো প্রতারণা করে না, তাই না?"

আরাফের চোখে ভাসে পুরনো স্মৃতি। সে হাত বাড়িয়ে দেয়, নীহারিকা তার হাতে হাত রাখে। মনে হয়, হারানো সময় যেন আবার ফিরে আসছে।

অষ্টম অধ্যায়: নতুন শুরু

বৃষ্টি তখনো পড়ছে। কিন্তু আজ তার মাঝে কষ্ট নেই, আছে এক নতুন স্বপ্নের শুরু।

(সমাপ্ত)

https://towfiqsultan-al-towfiqi.blogspot.com/2024/12/blog-post.html

إرسال تعليق

আকর্ষণীয় পুরুষ্কার পেতে দ্রুতই আপনার দক্ষতা দেখান আমাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব কে

উপহার পেতে আপনাকে ওয়েলফশন দিয়ে কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, চিঠি,গল্প, নিবন্ধন,কলাম, বই বা আপনি যা ভালো পারেন তা লিখে আমাদের গ্রুপে পোস্ট করতে হবে।  এবং আপনার লিখার সাথে  ছবি, নাম,ঠিকানা, ই-মেইল, মোবাইল নাম্বার লিখে ই-মেইল করতে হবে। E-mail :  towfiqhossain.id@gmail.com Welftion.help@gmail.com   towfiqsultan.help@gmail.com আকর্ষণীয় পুরুষ্কার পেতে দ্রুতই আপনার দক্ষতা দেখান আমাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব কে Post Group Links :  https://www.facebook.com/ groups/welftion.community/? ref=share_group_link Drive Upload:  https://drive.google.com/ drive/folders/ 1s5QptcKMbmVnxlWtwatP- B2JGLI2wj4o শর্ত: আপনি যা-ই লিখেন বা তৈরী করেন তাতে ওয়েলফশন শব্দ লগো কে হাইলাইট করতে হবে। তা হতে হবে সত্য ন্যায়, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং কল্যাণের আহ্বান যা মূলত কল্যাণেন প্রতিনিধিত্ব করবে ..! গল্প তৈরি করতে পারেন ওয়েলফশন নগরী নিয়ে। তাছাড়া আপনার পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়ে উপহার পেতে পারেন।   যেমন : ছবি, সফটওয়্যার তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, Android App's, Building, 3D,Animation, যে কোনো কিছু হতে পারে। আক...

কবিতা -১০

  তৌফিক সুলতান ছবি তুলেছেন  আমাকে একটু ভালোবাসা যাবে? খুবই স্বল্প পরিমাণ। না তার থেকেও কম; একেবারেই কম, যাবে? একটু ভালোবাসা যাবে? আমার একটু যত্ন নেওয়া যাবে? একদমই কম। ধরো আমি তোমাকে বললাম "আমার মন খারাপ" তুমি বললে "অসুবিধা নেই একটু পর ঠিক হয়ে যাবে।" মন ভালো না হোক শুধু এই অল্প যত্নটুকু নেওয়া যাবে? আমি বোধহয় খুব অল্প কিছুর অভাবে মা/রা যাবো। আমাকে তুমি সেই অল্প টুকু দিবে? #লেখা: সংগৃহীত https://www.facebook.com/share/r/1dKvvfdodd/ 2.   তুমি একদিন আমাকে দারুন ভাবে অনুভব করবে, কিন্তু ততদিনে আমাকে হারিয়ে ফেলবে আর নিজেকে বার বার প্রশ্ন করতে থাকবে আমি কিভাবে আপনাকে হারিয়ে ফেললাম অথচ মানুষটা আমার সামনেই ছিলো। এখন তুমি হয়তো ভিতরে ভিতরে মুচকি মুচকি হাসচ্ছ কিন্তু বিশ্বাস করো তুমি চাইলেই আমাকে ভালোবাসতে পারতে। চাইলেই বলতে পারতে আমার আপনাকেই লাগবে। তোমার মুখ থেকে এই কথা গুলো শুনবার জন্য কতোটা সময় অপেক্ষা করেছি তুমি কী? বলতে পারো!? জানি বলতে পারবে না! কারণ তোমার অনুভূতি যে হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাতে-ই পারে নি। আমি সব সময় একটা কথা বলি পৃথিবীতে সব থেকে জরুরি হলো হৃদয়বান হওয়া।  জনো আম...

কবিতা রেকর্ড -১

তৌফিক সুলতান  ২০।  শুনচ্ছো; আমি দেখেছি কিভাবে অপেক্ষারা উপক্ষাতে বদল হয়। নির্ঘুম রাত্রি শেষে আধার নিয়ে আসে ভোর।  তোমার নামে বেরিয়ে আসা দীর্ঘ শ্বাস বলে নীল আকাশ ছুঁতে আর কতো দূর।  এতোটা অপেক্ষায় রেখোনা তারপর একদিন ফিরে এসে দেখবে ; তুমি আসার আগেই মৃত্যু এসে নিয়ে গেছে আমায়। যেহেতু মৃত্যুর অভিধানে 'অপেক্ষা' বলে কোনো শব্দ নাই। ভালোবেসে যে তোমাকে মনে রাখে নি  অহেতুক ঘৃণায় তাকে সরণে রেখে কি লাভ বলো? তারচেয়ে বরং তোমার প্রর্থা জুড়ে না থাকুক সেই ভুল মানুষটার অভাব।  তোমাকে আমি সব সময় ভালোবাসি এটাই আমার স্বভাব।  তুমি আমার দুঃখ সুখ-   ১৯| পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আসলে  মানুষের জন্য পারফেক্ট না।  আবার থাকতে থাকতে একটা সময়  জেলখানার প্রতিও মায়া জন্মে যায়।  দীর্ঘ দিন বয়ে বেড়ানো একটা অসুখ–  সেরে উঠার পর অসুখের দিনগুলোর কথা  মনে পড়লে সেই অসুখটার জন্য মন খারাপ লাগে।  হেঁটে যেতে যেতে পথপাশে দেখা একটা ফুল,  অচেনা বাড়ির বেলকনি,  বিকেলের মিহি রোদ নেমে আসা ঝুল বারান্দা–  এসবের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে।  দূরপাল্লার বাসে ব...

Send Whatsapp Query